৯৯৯ - ন্যাশনাল ইমার্জেন্সি সার্ভিস

আনিকা আহাম্মেদ । ০৩ মে, ২০২০


৩৩৩: দোরগোড়ায় পরিষেবা

৯৯৯ জরুরি সেবা বাংলাদেশ পুলিশের অধীনে পরিচালিত একটি জরুরি কল সেন্টার। এখান থেকে জরুরি পুলিশ, জরুরি ফায়ার সার্ভিস ও জরুরি এ্যাম্বুলেন্স সেবা প্রদান করা হয়। দেশের যে কোন প্রান্ত থেকে যে কোন ব্যক্তি ৯৯৯ কল করার মাধ্যমে এ সকল জরুরি সেবা গ্রহন করতে পারবেন। সর্বস্তরের নাগরিকদের জরুরি সেবা প্রদানের উদ্দেশ্য ২০১৭ সালের ১২ ডিসেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ পুলিশ এই কল সেন্টার সেবাটি চালু করে। সপ্তাহে ৭ দিন ২৪ ঘন্টা চালু রয়েছে এ কল সেন্টার। ৯৯৯ একটি টোল ফ্রি নাম্বার। এই নাম্বারে কল করার জন্য কলারকে কোন টাকা খরচ করতে হয় না।

বর্তমানে এই কল সেন্টারে শতাধিক এজেন্ট জরুরি সেবা প্রদানে কাজ করে যাচ্ছে। ভবিষ্যতে এই সংখ্যা বৃদ্ধির পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়া পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস এবং এ্যাম্বুলেন্স সেবার পাশাপাশি অন্যান্য সেবা দেওয়ার পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে। আপনার জরুরি কলের জন্য আমাদের প্রশিক্ষিত কল সেন্টার এজেন্টরা সদা প্রস্তুত, প্রস্তুত বাংলাদেশ পুলিশ। ভাল থাকুন, নিরাপদে থাকুন।


image

জরুরি প্রয়োজনে নাগরিকদের তাৎক্ষণিক সহায়তা দিতে আজ থেকে দেশে আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হলো ইমার্জেন্সি হেল্পলাইন ‘৯৯৯’। অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশি সেবা দিতে ‘৯৯৯’ নম্বরের যাত্রা শুরু করা হলো। পর্যাক্রমে এ সেবার পরিধি আরও বাড়ানো হবে বলে জানা গেছে। রাজধানীর আবদুল গনি রোডের ডিএমপির কন্ট্রোল রুমে এ সার্ভিসের প্রধান কার্যালয় করা হয়েছে। সেখানে আজ বেলা ১১টার দিকে এ সেবা কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রীর আইসিটিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। উদ্বোধনের পর সজীব ওয়াজেদ জয় জাতীয় জরুরি সেবা-৯৯৯ কেন্দ্রের কল সেন্টার পরিদর্শন করেন। ৯৯৯ সেবাটি ডিএমপির এ কন্ট্রোল থেকে বাংলাদেশ পুলিশের ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত হবে।


এখন থেকে ৯৯৯ নম্বরে কল করলেই যে কেউ পেয়ে যাবেন পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও অ্যাম্বুলেনাস সেবা। ৯৯৯ নম্বরটিতে ফোন করতে গ্রাহকের কোনো টাকা খরচ হবে না, এটি সম্পূর্ণ ফ্রি। এ কল সেন্টারের দায়িত্বে থাকা বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যরা ২৪ ঘণ্টায় সেবা দেবেন। উদ্বোধনের সময় উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন এবং বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সেপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক। যুক্তরাজ্য, মালেয়েশিয়া, হংকং, পোলান্ড, আরব আমিরাত, বাহরাইন, কেনিয়া, কাতার, আয়ারল্যান্ড, সৌদি আরব, সিঙ্গাপুর, সুইজারল্যান্ড, থাইল্যান্ড ও জিম্বাবুয়েসহ অনেক দেশেই ৯৯৯ শটকোর্ডে জরুরি সেবা সার্ভিস চালু রয়েছে। এ ছাড়া অস্ট্রেলিয়াতে ‘০০০’, নিউজিল্যান্ডে ‘১১১’, ইউরোপীয় ইউনিয়নে ‘১১২’, কানাডা ও আমেরিকায় ‘৯১১’ শটকোড দিয়ে জরুরি সেবা সার্ভিস চালু রয়েছে।